ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে। করোনা ভাইরাস যেখানে প্রথম দেখা গিয়েছিল সেই চিনে গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। মানুষদের উপর শুরু হয় এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করার কাজ। এই সকল পরীক্ষাগুলি চিনের উহান শহরে করা হয়, যেখানে সবচেয়ে বেশি করোনা তার প্রভাব বিস্তার করেছিল। তবে ভালো খবর হল, ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার ইতিবাচক ফলাফল সামনে আসছে।

চিনে এই ট্রায়ালের জন্য মোট ১০৮ জন, ১৮ থেকে ৬০ বছরের লোকদের নির্বাচন করা হয়েছিল। এর মধ্যে মোট ১৪ জন ভ্যাকসিনের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখার পর তাদের নিজেদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে যে, যে ১৪ জনের উপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করা হয়েছিল তারা পুরোপুরি ভাবে সুরক্ষিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

তাদের মেডিক্যাল টেস্টের মধ্যে রাখা হবে এবং ছয় মাস ধরে দেখা হবে যে এনারা আদৌ করোনায় আক্রান্ত হন কিনা। হলেও বা কিরকম প্রতিক্রিয়া হয় তাদের শরীরে। যদি তাদের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি বিকশিত হবে এবং অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তখনই তাদের রক্তের নমুনা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এই ভ্যাকসিন বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন চিনের সবচেয়ে বড় ব্যায়ো-ওয়ারফেয়ার বৈজ্ঞানিক এবং তার দল বানিয়েছে। এই লোকগুলিকে তিনটি ভাগে আলাদা আলাদা ভাবে বসানোয় হয়।

তাদেরকে আলাদা আলাদা দিনে আলাদা মাত্রার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা প্রায় সফল হয়েছে। যখনই এই ভ্যাকসিনের শক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে তখন তারা আন্তর্জাতিক স্তরে এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে তথ্য দিয়ে দেবে। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা যাতে গোটা দুনিয়া করতে পারে এমনটাই চান তারা।