ইতালি, ফ্রান্স কিংবা আমেরিকার মতো ভারতের পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিও কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে রাজ্যগুলির উপর নজর রাখছে প্রতিনিয়ত। করোনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য দেশ লকডাউনের মধ্যেই বিজেপি ৩৫ টি কেন্দ্র ও রাজ্যশাসিত অঞ্চলে ৩৫ টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে।

ইতিমধ্যেই শুক্রবার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা উত্তর প্রদেশে দলীয় নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনাও করেছেন। বিজেপি সভাপতি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার দেশের গ্রাম, দরিদ্র মানুষ, কৃষক এবং মহিলাদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। জেপি নড্ডা আরও বলেছেন, “দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্র সরকার অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেগুলির প্রশংসাও করছে প্রত্যেকে। কিন্তু কংগ্রেস দল এটিকে দেখতে পাচ্ছে না কারণ তাঁরা চোখে পট্টি বেঁধে রয়েছে।”

বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন, কিছু বিরোধী দল “ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য” করছেন। উদ্দেশ্য করোনা মোকাবিলাতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংকল্পকে ক্ষুণ্ন করা। সেই সঙ্গে দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মন্তব্যের পাশাপাশি তিনি রবিবার রাত্রি ৯ টায় সমস্ত দলীয় নেতাদের আলো বন্ধ করে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ কিংবা মোবাইলে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রক্ষা করার কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, “এই রবিবার এপ্রিল ৫ এপ্রিল, আমরা একসাথে করোনা ভাইরাসের অন্ধকারময় দিককে চ্যালেঞ্জ করব। ৫ এপ্রিল, রাত্রি ৯ টা, আমার আপনাদের সময়ের ৯ মিনিট দরকার। রাত্রি ৯ টায়, আপনাদের বাড়ির সমস্ত লাইট বন্ধ করুন এবং আপনার দরজা বা বারান্দায় ৯ মিনিটের জন্য একটি প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা ফ্ল্যাশলাইট জ্বালান।”