বিশ্ব জুড়ে প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন। কমছে তেলের চাহিদাও। ফলে হু হু করে বিশ্ব বাজারে কমছে তেলের দাম। এবার তারই প্রভাব পড়ল আমেরিকার অয়েক মার্কেটে।

সোমবার ঐতিহাসিকভাবে কমে গেল তেলের দাম। আগামিদিনে তেলের দাম আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।

ফিউচার মার্কেটে মে মাসে তেলের দাম গিয়ে দাঁড়াতে পারে ব্যারেল প্রতি ০ ডলারেরও নীচে। আরও নিখুঁতভাবে বলতে গেলে ০.০১ ডলার প্রতি ব্যারেল।

যা, এক বোতল জলের থেকেও কম। এর আগে কখনও এত দাম কমতে দেখা যায়নি।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চাহিদা কমায় তীব্র চাপের মুখে পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজার। বিশ্ববাজারে হু হু করে কমছে দাম।

যুক্তরাষ্ট্রে তেল সংরক্ষরণাগারগুলো অতিরিক্ত তেলের চাপ আর নিতে পারছে না। এতে দাম আরও কমে যাচ্ছে।

ফিউচার মার্কেটে মে মাসে যে দাম হবে তা একধাক্কায় ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে একদিনে।
অর্থাৎ রবিবারও ৯০ শতাংশ বেশি ছিল। গোটা বিশ্বে সব কারণা ও অটো মোবাইল সংস্থাগুলিও প্রায় বন্ধ।
ফলে, তেলের চাহিদার উপর প্রভাব পড়ছে।গত এক মাস ধরে কম চাহিদার চাপ ও উৎপাদন কমানো নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে তেলের বাজারে।
অবশ্য চলতি বছরের শুরু থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে তেলের উপর।

মার্চের শেষে ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে দাম।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আলোচনা শুরু হয় তেল উতপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে।
গত ১৩ এপ্রিল নানা আলোচনা জল্পনার পর ওপেক প্লাস ও তেল উৎপাদক মিত্রদেশগুলো উৎপাদন কমানোর ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছায়।
দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের এই জোট, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ।